চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার!
তুমি কে আমি কে? রাজাকার রাজাকার।
কে বলেছে কে বলছে?
স্বৈরাচার স্বৈরাচার!
লাখো শহীদের রক্তে কেনা, দেশটা কারো বাপের না!
শিক্ষার্থীরা নামসিলো
প্রতিবাদে রাজপথে
সারাদেশের জনতাও
মিলসিলো তাদের সাথে।
বুকের পাটায় কেল্লা বানায়
আবু সাঈদ ওয়াসিমরা
সেই বুকেতে গুল্লি করলো
পুলিশ লীগের হায়নারা।
কয়েকশো বুক ঝাঁঝরা হইলো
শহর-গ্রামের প্রান্তে
কত সন্তান এতিম হইলো
পারলো না কেউ জানতে।
বইনে খুঁজতো ভাইয়ের দেহ
ফেরাউনের স্বর্গে
বাপে পাইতো পোলার লাশটা
মেডিকেলের মর্গে ।
সীমান্তে রোজ মানুষ মরতো
ভারত বাপের গুল্লিতে
আঙ্গুল চুইষা চাইয়া থাকতো
স্বৈরাচারের চুল্লিতে
লোভে পইড়া যেই সেনারা
খুনীটারে সেজদা দিতো
জানতে চাই এই মীর জাফরের
কার টাকাতে পেটটা চলতো?
গোপালী সব পুলিশ ছিলো
স্বৈরাচারের টানবাজার
জনগনের বুকেতে
চালাইসিলো বুলডোজার ।
একাত্তরেও এত্তো গুলি
ঢাকার মাইনষে দ্যাহে নাই
হাসপাতালেও হামলা করতে
দস্যু রানীর বাঁধে নাই।
রক্ত খাইয়া রক্ত হাগতো
টুঙ্গিপাড়ার ডাইনিটা
রক্ত দিয়া গোসল করতো
শেখের জাউরা জঙ্গীটা।
ইতিহাসের স্বাক্ষী হইলো
লাল জুলাইয়ের জেনোসাইড
ট্যাংক, ড্রোন আনলো সবই
জনতাও করসে ফাইট।
বইনেরা সব নামসিলো
ভাইঙ্গা ভয়ের রজনী
ভাইগুলারে রক্ষা করসে
সুন্দরবনের বাঘিনী।
RAB পুলিশের লগে যুদ্ধ
গায়ে জিন্স আর গেঞ্জি
দশ হাত কলিজার
ফিয়ারলেস Gen Z
ইনকিলাব ইনকিলাব
জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ
জুয়ার দালাল সাকিবাল
খেলে ট্যাকার ধান্দায়
হ্যাডার এক্সপ্রেস মাশরাফিরে
সারা বাংলা পোন্দায়
আলোর খোঁজে বাইজীডি সব
জপতো চ্যাটের গল্প
সুশীল চোদা বয়ান খুঁজতো
ইবলিশের বিকল্প।
ন্যাকাচোদা আপা আপা
অস্কার কুইন হাসিনা
তোর কান্দনের এ্যাক্টিং দেইখা
শাবানাও কয়- বাঁচি না।
হেলিকপ্টার করলো গুলি
স্বীকার যায় নাই খুনিটা
সেই গুলিতে মইরা গেলো
বাপের কোলের শিশুটা
মেট্রোর লাইগা কানতো নটী
জানের কথা কইতো না
গানের লাইগা কানদে দালাল
লাশডির দিকে চাইতো না
রামদা নিয়া নামসিলো লীগ
অলি-গলি, ঝোপেতে
মানুষ মাইরা ফালি করতো
দা-চাপাতির কোপেতে
কোপের পরে মারতো রে কোপ
ঘাড়ে, বুকে, কোমড়ে
কসাই যেনো টুকরা করসে
কার বুকের ধন আহারে!
লাশের সংখ্যা?
জানি না
পঙ্গু কতো?
জানি না
গুমের হিসাব?
জানি না
জানি না, জানি না
জানি শুধু জীবন থাকতে
এই খুনীরে ছাড়মু না।
বেওয়ারিশ কবর দিছে
কত শত ভাইয়েরে
অন্ধ হইছে হাজার মানুষ
দেখবে না আর চাইয়ারে।
বাইয়া বাইয়া মগজ পড়সে
গুল্লি খাওয়া মাইনষের
চোখটা খুইলা ঝুইলা গেছে
মাগো কইয়া কান্দে ফের
হাতটা আছে, পা-টা নাই
পা আছে তো হাতটা নাই
আঙ্গুলগুলা কাইটা পড়ছে
আমার বলার শক্তি নাই।
মরা দেহ পইড়া ছিলো
ঘাড়ে তাহার মাথা নাই।
পোলাডিরে আগুন দিসে
মায়েও লাশটা চিনে নাই
জ্যান্ত লোকের পেটটা ফাড়া
নাড়িভুড়ি ঝুলতাসিলো
বুলেট বিদ্ধ মাথার খুলি
রক্তে রাস্তা ভাসতেসিলো।
চাক্কা দিয়া থেতলায় দিছে
কোন বাজানের মুখটারে
এপিসিতে পিষষা দিছে
কোন শহীদের বুকটারে।
সারাক্ষণই বাজে কানে
হামার ব্যাটাক মারলু ক্যানে
লক্ষ মায়ের অভিশাপে
খোদাতালার আরশ কাঁপে।
মরার আগে আমারে আর
কি দেখাইবা খোদা?
কইতে পারো এই ডাইনিটা
কোন নমরুদের চোদা?
মোদিশাহীর হেরেমখানায়
পলায় গেসে ডাইনিটা
১৫ বছর বদলা নিছে
টুঙ্গিপাড়ার সাইকোটা
ফেন্সিখোরে নেশা কইরা
করতো বাপের বন্দেগী
লাশ দেইক্ষা নাচতো গাইতো
জিন্দেগী - জিন্দেগী
গদির নেশায় লাখো মানুষ
মারসে পথে ঘাটেরে
হের পরেও আফসোস লীগ
খুনিটারে চাটেরে
দেশের ট্যাকা মায়ে পুতে
খালায় খাইসে গিল্লারে
মুজিবকোটের খুনি গুলা
দেশটা লুটসে মিল্লারে
লাশের উপর লাশ রাইখ্যা
আগুন দিয়া জ্বালাইয়া
খুনী গুলা ফুর্তি করে
বাপের দেশে পলাইয়া
মুজিব কোটের হজ্ঞল নেতা
কা কা কা কা কাউয়া
পিলখানাতে পারাইয়া
ভাংমু তগো শাউয়া
সারা বিশ্ব চাইয়া দেখসে
লাল জুলাইয়ের অভ্যুত্থান
দড়ি ধইরা মারছি রে টান
ডাইনি হইসে খান খান
স্যুটকেস গুসায় শেখের বেটি
বাপের মতই পলাইসে
বাপে বেটি দুই স্বৈরাচার
বাংলাদেশটা জ্বালাইসে।
অন্তরেতে খোদাই থাকবে
চব্বিশের এই লাল জুলাই
হাসিনার নাম পালটাইয়া
নাম দিলাম বাংলার কসাই ।
ইনকিলাব ইনকিলাব
জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ